‘আগুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও’ প্রতিপাদ্যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে অবস্থান কর্মসূচি ও মানববন্ধন করেছে চলচ্চিত্র পরিচালক, শিল্পী ও কলাকুশলীরা। আজ (১০ ডিসেম্বর) বেলা দেড়টার দিকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (এফডিসি) ‘সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ’ ও ‘আমরা বাংলাদেশের শিল্পীসমাজ’র ব্যানারে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।
নির্মাতা মুশফিকুর রহমান গুলজারের সঞ্চলনায় কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন চিত্রনায়ক রিয়াজ। তিনি বলেন, ‘আজ বিশ্ব মানবাধিবার দিবস। এই দিনে আমরা বলতে চাই, দেশে আগুন-সন্ত্রাস কায়েমের চেষ্টা একটি মানবতাবিরোধী অপরাধ। যারা আগুন-সন্ত্রাস করে আমাদের বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করছে, আমাদের স্বাভাবিক জীবনে চলার পথে বাধা সৃষ্টি করছে তাদের প্রতি আমরা ঘৃণা জানাই। আমরা সুন্দর ও স্মার্ট বাংলাদেশ চাই। যারা এই পথের বাধা সৃষ্টি করবে তাদের শক্ত হাতে রুখে দিতে হবে।’
কর্মসূচিতে ছিলেন টেলিভিশন নাটকের জনপ্রিয় মুখ তারিন জাহান। তিনি বলেন, ‘দেশে এক শ্রেণির মানুষ আছে যারা বলেন- এই সরকারের আমলে নাকি মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়। আমার তাদের কাছে প্রশ্ন, জীবন্ত ও ঘুমন্ত অবস্থায় পেট্রোল বোমা মেরে, দেশে জ্বালাও-পোড়াও করে মানুষকে পুড়িয়ে মারা কি আপনাদের গণতন্ত্র? প্রত্যেকটা নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াত এই কাজটি করে থাকে। আগামী নির্বাচনে আমরা জ্বালাও-পোড়াও চাই না। আমরা চাই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে।’
সবশেষে বক্তব্য দেন ঢাকা ১০ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ফেরদৌস আহমেদ। তিনি বলেন, ‘মানবতার মা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুরো বিশ্ব স্বীকৃতি দেয়। কোনো বিষয়ে বিশ্বের কোনো নেতা যখন কথা বলার সাহস পান না, তখন তিনি কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী একা সাহস করে ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে এ দেশে আশ্রয় দিয়েছেন। সেই দেশের স্বাধীনতার ৫২ বছর পর এসে এখানে ব্যানার নিয়ে আমাদের একত্রিত হতে হয়। কেন? দেশে রাজাকারের শাস্তি হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হয়েছে কিন্তু এখনো রাজাকারের বংশধররা রয়ে গেছে। যারা প্রতিনিয়ত অগ্নিসংযোগ ও জ্বালাও-পোড়াও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।’
অবস্থান কর্মসূচি ও মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন পলিচালক শাহ মো. কিরণ, এডিটরস গিল্ডের সভাপতি ও পরিচালক আবু মুসা দেবু, অভিনেত্রী অঞ্জনা, সুজাতা, নূতুন ও নিপুণ আক্তার।