বিয়ানীবাজার নিউজ ২৪। ২৫ মার্চ ২০১৭।

সিলেটের শিববাড়ি এলাকার জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহলের ৩০ ফ্ল্যাট থেকে ২৮টি পরিবারের ৬৯জনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে তিন দফায় আতিয়া মহলে থাকা সাধারণ বাসিন্দাদের উদ্ধার করা হয়। একই সাথে পাশের একটি সাদা রঙের ভবন বর্তমানে ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী। দুপুর আড়াইটার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আতিয়া ভবনে অভিযান চালায়। এসময় বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা যায়।

শনিবার (২৫ মার্চ) সকালে অপারেশন ‘টোয়াইলাইট’ শুরুর পর ১০টা ৪০ মিনিটে পাশের সাদা রঙের ওই ভবন থেকে সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে জঙ্গিরা গুলি ছোঁড়েছে বলে শুনা যাচ্ছে। ওই তবে বিষয়টি সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ওই ভবনেও জঙ্গিদের অবস্থান রয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো সদস্যরা সকাল ৮টা ২৮ মিনিটে লে. কর্নেল ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বে ‘আতিয়া মহলে’ এ অভিযান শুরু করে।

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার পাঠানপাড়া সড়কের পাশে অবস্থিত পাঁচতলা ও চারতলাবিশিষ্ট দুটি ভবনের নাম আতিয়া মহল। সিলেট নগরীর আতিয়া ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ির বান্দরঘাটের (বন্দরঘাট) বাসিন্দা উস্তার মিয়া।

এই বাড়িতে জঙ্গিরা আস্তানা গেড়েছে এমন সন্দেহে  বৃহস্পতিবার রাত ২ টা থেকে বাড়িটি ঘিরে রাখে পুলিশ। শুক্রবার দিনভর পুলিশ, সোয়াট ও সেনাসদস্যরা বাড়িটিকে ঘিরে রাখে। এসময় হ্যান্ডমাইকে করে বারবার সন্দেহভাজন জঙ্গিদের আত্মসমর্পনের আহ্বান জানানো হয়। তবে এতে সাড়া মিলেনি। অবশেষে বাড়িটি ঘিরে রাখার প্রায় ত্রিশ ঘন্টা পর চুড়ান্ত অভিযানে নামে সেনা সদস্যরা।

অভিযানে অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রথমে আতিয়া মহলের অন্য ফ্ল্যাটগুলোতে আটকে পড়াদের উদ্ধার করা হবে। পরে জঙ্গিদের ভবনের বাইরে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হবে।

ভবন মালিক জানিয়েছেন, পাঁচ তলা ভবনটিতে ৩০ টি ফ্ল্যাটে মোট ২৮ টি পরিবার ভাড়া থাকেন।

এই ভবনের নিচ তলার একটি ফ্ল্যাট গত জানুয়ারি মাসে প্রাণ কোম্পানির অডিট অফিসার পরিচয়ে কাওসার আহমদ ও মর্জিনা বেগম দম্পত্তি। ওই ফ্ল্যাটটিকে ঘিরেই চলছে তেত্রিশ ঘন্টা ধরে অভিযান।