বিয়ানীবাজার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অধীন আছিরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের নাম ফলকের ্একটি অংশ স্থাপন ও তুলে ফেলা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে সাথে বিয়ানীবাজার অংশ সংযোগ করার পর রাতের আধারে কে বা কারা সে অংশ তুলে ফেলেন। এতে দেখা দিয়েছে বিশৃঙ্খলা।

বিদ্যালয় নিয়ে যে অদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে সেটি নিরসন করা হবে জানিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের এক দায়িত্বশীল বলেন, আছির উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ নামেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামকরণ ছিল, কিন্তু কমিটিকে না জানিয়ে কারা এ নাম ফলকের সাথে বিয়ানীবাজার যুক্ত করে দেন।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যারা মানববন্ধন করতেছেন তাদের অনেকে ভাড়াটিয়া এ মন্তব্য করে তিনি বলেন, গ্রামবাসী ও অভিভাবকদের নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বৈঠকে বর্তমান পরিস্থিতি বিষয়ে আলোচনা করে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

নামফলকে থাকা বিয়ানীবাজার অংশ তুলে ফেলায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে তিলপাড়া ইউনিয়নের এ বাসিন্ধা। তিনি বলেন, বিদ্যালয়টি বিয়ানীবাজার উপজেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে, অফিসিয়ালি যাবতীয় বিষয়ে বিদ্যালয় বিয়ানীবাজারের সাথে যুক্ত রয়েছে, তাহলে নামফলকে কেন বিয়ানীবাজার থাকবে না।

বিযানীবাজার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস জানায়, শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে আছিরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানের এসএসসি পরীক্ষা গ্রহণসহ বিভিন্ন প্রসাশনিক কাজ, বই বিতরণ সব কিছু বিয়ানীবাজার উপজেলা মাধ্যমিক অফিস থেকেই তদারকি করা হয়।

আছিরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক বলেন, পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বিদ্যালয়ের পাঠদান ও প্রশাসনিক কাজ স্বাভাবিক নিয়মে চলছে।

আছিরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের পাঠদান স্বাভাবিক রাখতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন শিক্ষার্থীরা।

আছিরগঞ্জ বাজার ও গ্রাম বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ উপজেলায় বিভক্ত। যার প্রভাব পড়েছে বিদ্যালয়ের নাম ফলকে বিয়ানীবাজার অংশ স্থাপন ও তুলে ফেলা নিয়ে। এলাকাবাসী এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ ও বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। ফলে পরিস্থিতি সমাধানে দুই উপজেলার প্রশাসনের শীর্ষ দায়িত্বশীলদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা