অবশেষে কুশিয়ারা নদীর বহরগ্রাম-শিকপুর সেতু নির্মাণের জন্য দরপত্র আহবান করেছে সিলেট এলজিইডি অফিস। এক যুগেরও বেশি সময় থেকে সেতু নির্মাণে প্রতিশ্রুতির বিষয়টি শুধু বক্তব্য ও প্রক্রিয়া গ্রহণ ও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে আটকে ছিল।
বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ উপজেলার সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর গত সপ্তাহে প্রথম সভা করেন। এ সংসদ ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে সিলেট এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী দরপত্র আহবান করেছেন।

গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষা অবসান হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হওয়া এ দুই উপজেলাসহ আশপাশ এলাকার মানুষ খুশি হয়েছেন। লাখো মানুষ খুশি হলেও তাদের মনে প্রশ্ন নির্ধারীত সময়ে সেতুর কাজ শুরু হয়ে শেস হবে তো।
বিশেষ করে ২০১১ সালে তৎক্ষালীন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বুধবারিবাজার ইউনিয়নের বাঘিরঘাট এলাকায় কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে বহরগ্রাম শিকপুর সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন। তাঁর সে ঘোষণার পর সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে এ সেতু নির্মাণ শুরু করতে পারেননি। সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে এবাধিক তিনি দাবি উত্থাপন করলেও সম্ভাব্যতা যাচাই, নকশা প্রণয়ন, পরিকল্পনা এসবের মধ্যে আটকে ছিল সেতু নির্মাণ কাজ। সময় গড়িয়েছে প্রায় ১৩ বছর।
সিলেট এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, কুশিয়ারা নদীর বহরগ্রাম-শিকপুর সেতুর দৈর্ঘ্য ৮৩৯ মিটার ও ৯.৮ মিটার প্রস্থ সেতুটি নির্মাণ করতে ব্যয় হবে ১ শত ২৬ কোটি টাকা। গত ১ ফেব্রুয়ারি এলজিইডির সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী সেতুটি নির্মাণের জন্য কয়েকটি পত্রিকায় দরপত্র আহবান করেন। আগামী ৭ মার্চ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো দরপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান খান বলেন, দুই উপজেলার লাখো মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পুরণ হওয়ার পথে। আমাদের সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে। নরুল ইসলাম নাহিদ বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জবাসীর কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত রেখেছেন সেটি আরেকবার প্রমাণিত হলো। আমরা দুই উপজেলার পক্ষ থেকে তার প্রতিকৃতজ্ঞতা জানাই। সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়াল বলেন, নুরুল ইসলাম নাহিদের হাত ধরে সিলেট-বিয়ানীবাজার মহাসড়ক প্রশস্থ হয়েছে। চন্দরপুর, কালনি ও সওদা খাল সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। তার মাধ্যমে বহরগ্রাম শিকপুর সেতু নির্মিত হওয়ার প্রথম ধাপ শুরু হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা সেতুটি দ্রত সময়ের মধ্যে যেন কাজ শেষ করা হয়। নুরুল ইসলাম নাহিদ আমাদের কৃতি সন্তান, তার মাধ্যমে এ দুই উপজেলার ব্যাপক উন্নয়ন হবে।