নিজেকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক পরিচয় দিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করে প্রতারণার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার বিকেলে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। আটককৃত আচার্য জয় (৩০) সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার গনকখাই গ্রামের নিবেন্দ্র আচার্যের ছেলে। তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন প্রতারিত এক চাকুরী প্রত্যাশীর পিতা।

জানা গেছে, বিশ্বনাথ উপজেলার ভুরকি গ্রামের আব্দুল জব্বারের মেয়ে খাদিজা বেগমকে (২৫) ক্যাজুয়ালটি বিভাগে রিসিপশনে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে আচার্য জয় ৪২ হাজার টাকা দাবি করে। গ্রামের সহজ সরল আব্দুল জব্বার মেয়ের চাকুরির কথা ভেবে ৪২ হাজার টাকা তুলে দেন তার হাতে। টাকার বিনিময়ে আচার্য জয় ওসমানী হাসপাতালের পরিচালকের স্বাক্ষর জাল করে গত ১৫ জুনের নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে বলে একটি নিয়োগপত্র দেন।

১ অক্টোবর থেকে হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি বিভাগে যোগদানের কথা উল্লেখপূর্বক নিয়োগপত্র প্রদান করেন। খাদিজা নির্ধারিত তারিখে নিয়োগপত্র নিয়ে হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট বিভাগে গেলে প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে। খাজিদার পিতা আব্দুল জব্বার ২ অক্টোবর সিলেট কোতোয়ালী থানায় একটি জিডি করেন।

জিডির সূত্র ধরে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ফাঁড়ির ইনর্চাজ এসআই ফারুক তদন্ত শুরু করেন। তদন্তে বেরিয়ে আসে আচার্যের প্রতারণার বিষয়টি। কৌশলে পুলিশ গতকাল বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে আব্দুল জব্বার বাদী হয়ে আচার্য জয়ের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন। গতকাল শনিবার আচার্যকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. একে মাহবুবুল হক জানান, প্রতারণার বিষয়টি আবগত হয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলি। হাসপাতালে দুর্নীতি,দালাল ও প্রতারকদের ঠাঁই নাই।