অবশেষে সিলেটে যাত্রা শুরু করলো দেশের তৃতীয় বৃহৎ চিড়িয়াখানা। নগরীর টিলাগড় ইকোপার্কে নির্মিত চিড়িয়াখানাটিতে দর্শনার্থীদের জন্য আনা হয়েছে নানা জাতের দেশি-বিদেশি প্রাণী। বিনোদনের অভাব পূরণের পাশাপাশি বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীদের সাথে শিশুদের পরিচিত হতে চিড়িয়াখানাটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে দর্শনার্থীদের অবাধ বিচরণ যাতে ইকোপার্কের মুক্ত প্রাণীদের জন্য ক্ষতির কারণ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে বনবিভাগের প্রতি দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবাদীরা।

খাঁচার ভেতর বিদেশি পাখি ফিজেন্ট, ম্যাকাও আর লাভ বার্ডের উড়োউড়ি, সাথে কিচিরমিচির আওয়াজ। কিংবা ডোরাকাটা জেব্রা আর চিত্রল হরিণ-মায়াবী এসব প্রাণীর এখন দেখা মিলছে সিলেট নগরীর টিলাগড় ইকোপার্ক বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রের ভেতরের চিড়িয়াখানায়। ইটপাথরের ব্যস্ত নগরে সংরক্ষিত এ বনে খাঁচাবন্দি এসব প্রাণী যোগ করেছে সিলেটবাসীর বিনোদনে নতুন মাত্রা।

বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীদের সাথে নতুন প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দিতে চিড়িয়াখানায় আরো প্রাণী আনার দাবি দর্শনার্থীদের।

প্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রের ভেতর চিড়িয়াখানাটি স্থাপন করায় বনের মুক্ত প্রাণীদের নিয়ে শঙ্কিত পরিবেশবাদীরা। দর্শনার্থীদের অবাধ বিচরণ যাতে মুক্ত প্রাণীদের জীবন সংশয়ের কারণ হয়ে না দাঁড়ায় এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের মনোযোগী হওয়ার তাগিদ তাদের।

সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, টিলাবেষ্টিত ১১২ একর জায়গাজুড়ে নির্মিত ইকোপার্ক বন্যপ্রানী সংরক্ষণ কেন্দ্রের চিড়িয়াখানায় গাজীপুর সাফারি পার্ক থেকে ইতোমধ্যে আনা হয়েছে ৯ প্রজাতির ৫৮টি প্রাণী। আগামী সপ্তাহে আসবে আরো দু’টি চিত্রল হরিণ। আর ডিসেম্বরে আনা হবে বাঘ। চিড়িয়াখানার ভেতরের হাসপাতালে দেয়া হবে অসুস্থ প্রাণীদের চিকিৎসা।

সপ্তাহের সাতদিনই দশ টাকার প্রবেশ ফি’র মাধ্যমে দর্শনার্থীরা ঘুরে দেখতে পারবেন ইকোপার্ক বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র ও চিড়িয়াখানাটি।