লন্ডনে নির্মিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন স্থানীয় সরকারের প্ল্যানিং ইন্সপেক্টারেট কর্তৃপক্ষ। ২০১৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর সেখানকার সিডনী ষ্ট্রীটে এটি নির্মাণ করা হয়। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সাবেক সদস্য প্রয়াত সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটি উদ্বোধন করেন।

লন্ডন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আফছার খান সাদেকের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ম্যুরালটি নির্মাণ করা হয়। বহির্বিশ্বে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম ম্যুরাল এটি।

লন্ডন থেকে ম্যুরালের নির্মাতা আফছার খান সাদেক জানান, টাওয়ার হ্যামলেটস কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক নির্মিত ম্যুরালটি সে দেশের আইনানুযায়ী স্থাপন করা হয়েছে। এরপরও এখানকার বিএনপি-জামায়াতপন্থী লোকজনের ষড়যন্ত্রে ম্যুরালটি অন্যত্র সরিয়ে নিতে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলে অভিযোগ দাখিল করা হয়।

এ প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ১৫ মার্চ টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল নির্মাতার বিরুদ্ধে একটি নোটিশ জারী করে। বিষয়টি তাৎক্ষণিক জাতির জনকের কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা এবং যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ দুতাবাসের নজরে আনেন আফছার খান সাদেক। তাঁদের নির্দেশনা মোতাবেক ওই নোটিশের বিরুদ্ধে প্লানিং ইন্সপেক্টারেট এর কাছে আপীল করা হয়। আপীলের শুনানী, সরেজমিন পরিদর্শন এবং সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি যাচাই-বাছাই শেষে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল যথাস্থানে থাকার সিদ্ধান্ত দেন প্লানিং ইন্সপেক্টারেট কর্তৃপক্ষ। একইসাথে ওই নোটিশের কার্যকারিতা বাতিল ঘোষণা করা হয়।

ভারতীয় ভাস্কর্য শিল্পীর তত্বাবধানে নির্মিত ম্যুরালটি লন্ডনের ১শ’টি দর্শনীয় স্থানের একটি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। প্রতিদিন প্রচুর সংখ্যক দর্শনার্থী ম্যুরালটি দেখতে যান এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বাংলাদেশ থেকে যাওয়া মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং পদস্থ কর্মকর্তারাও ওই ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।