প্রায় ১৪ বছর আগে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টুর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এই রায়কে কেন্দ্র করে সারাদেশেই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ এবং বিএনপি দুই দলই রাজপথে থাকার কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলো। কর্মসূচী অনুযায়ী রায় ঘোষণার আগে থেকেই বিয়ানীবাজারে প্রস্তুত নিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। পরে দলীয় নেতাকর্মীরা এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে পৌরশহরে পৃথক পৃথক কর্মসূচীতে আনন্দ মিছিল করেছে। কিন্তু বিয়ানীবাজার উপজেলাসহ পৌরশহরের কোথাও বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের একত্রিত হয়ে কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি।

এদিকে, রায় ঘোষণার পরপরই বুধবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণার আগে পৌরশহরের কলেজ রোড এলাকায় সংঘটিত হন উপজেলা ছাত্রলীগের দলীয় নেতাকর্মীরা। পরে রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সেখান থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের করা হয়। পরে আনন্দ মিছিল শেষে আয়োজিত তাৎক্ষনিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক গ্রন্থণা ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ আমান উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা ইকবাল হোসেন তারেক, ছাইদুল ইসলাম, লায়ন হুমায়ন কবির পারভেজ প্রমুখ।

এছাড়াও বুধবার দুপুরে আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণার আগে পৌরশহরের দক্ষিন বাজার এলাকায় সংঘটিত হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের দলীয় নেতাকর্মীরা রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সেখান থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের করে। আনন্দ মিছিলটি পৌরশহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলো প্রদক্ষিন করে তাৎক্ষনিক সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। এসময় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন সকাল ১০টার পর হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা আলোচিত দুই মামলার রায় ঘোষণা করেন। ১৮ আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।