বড়লেখায় প্রতিপক্ষের দায়ের কোপে গুরুতর আহত বৃদ্ধা রয়ছুন বিবি (৯৬) ১৭ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মঙ্গলবার রাতে মারা গেছেন। বুধবার পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য তার লাশ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।

এ ঘটনায় নিহতের ছেলে নাজিম উদ্দিন প্রতিপক্ষের চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। নিহত রয়ছুন বিবি পৌর শহরের গাজিটেকা ষাট হাল এলাকার মৃত ময়না মিয়ার স্ত্রী।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, গত ২০ অক্টোবর বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে নাজিম উদ্দিন গংদের সাথে আবুল হোসেন গংদের সংঘর্ষ বাঁধে। ঘরের বারান্দায় বসে নাজিম উদ্দিনের বৃদ্ধা মাতা রয়ছুন বিবি উভয় পক্ষকে উচ্চ স্বরে ধমকিয়ে মারামারি প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। এক পর্য়ায়ে প্রতিপক্ষের ইদ্রিস আলীর ছেলে জাবেদ আহমদ (২৫) বৃদ্ধার পায়ে দা দিয়ে কোপ দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। এসময় বৃদ্ধার নাতি মিজানুর রহমানও আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় উভয়কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বৃদ্ধ রয়ছুন বিবিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

এদিকে, হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় আহত রয়ছুন বিবির ছেলে নাজিম উদ্দিন ওই দিন প্রতিপক্ষের জাবেদ আহমদ, আবুল হোসেন, নাসিম আহমদ ও ইমন আহমদকে আসামী করে থানায় মামলা করেন। নাজিম উদ্দিন অভিযোগ করেন, হামলার ঘটনায় মামলা করলেও পুলিশ কোন আসামীকে গ্রেফতার করেনি। এদিকে আহত রয়ছুন বিবির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে চিকিৎসকের পরামর্শে ৫ নভেম্বর ছেলেরা তাকে বাড়ি নিয়ে যায়। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে বাড়িতেই তিনি মারা যান।

বড়লেখা থানার ওসি (তদন্ত) মো. জসিম উদ্দিন জানান, পুলিশ নিহত রয়ছুন বিবির লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। আগে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হলেও এখন মামলাটি হত্যা মামলায় পরিণত হবে। পুলিশ আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।