বিয়ানীবাজার-বহরগ্রাম সড়কের একটি অংশে অনেকটা জায়গাজুড়ে রয়েছে দুটি বৈদ্যুতিক খুঁটি। পাশ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলছে যানবাহন। এতে যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। এই দৃশ্যটা উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের মাথিউরা সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসা ও ঈদগাহ বাজার জামে মসজিদের সম্মুখের বিয়ানীবাজার-বহরগ্রাম সড়কের। ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচলের দৃশ্য সবার চোখে পড়লেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।

জানা যায়, উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা সড়কটি বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার মানুষের যাতায়াত। বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ, আল এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ, মাথিউরা সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসা, মাথিউরা দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়, মাথিউরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যাতায়াতেরও একমাত্র সড়ক এটি। পাশপাশি এ সড়কটি বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা, কুড়ারবাজার ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার বুধবারী বাজার ইউনিয়নের দশ-বারটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতে ব্যবহার করে থাকে। এ সড়ক দিয়েই স্থানীয় মাথিউরা ইউনিয়নের অধিকাংশ বাসিন্দারা থানা সদরে যাতায়াত করেন।

স্থানীয়দের দাবি, এই খুঁটি দুটো বেশ কিছু দিন ধরে এই জায়গাতেই রয়েছে। বিয়ানীবাজার-বহরগ্রাম সড়কের মাথিউরা বাজার থেকে শুরু হওয়া রাস্তার মধ্যস্থানে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে খুঁটিগুলো। পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের কাছে এ খুঁটিগুলো সরানোর দাবি জানালেও কেউ গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তাই বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা কামরুল ইসলাম রাজু লোদী জানান, বিয়ানীবাজার ও গোলাপগ্নজ উপজেলার মাথিউরা ও বুধবারীবাজার ইউনিয়নের মানুষ এ সড়কটি যাতায়াতে ব্যবহার করে। এ সড়কের প্রায় মাঝামাঝি স্থানে দুটি বৈদুতিক খুঁটি দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে। স্থানীয় এলাকাবাসীর জনদুর্ভোগ লাঘবে অতিদ্রুত এসব বৈদ্যুতিক খুঁটি সরাতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম অভিলাষ চন্দ্র পাল বলেন, স্থানীয় এলাকাবাসীর কাছ থেকে আমরা এরকম কোন অভিযোগ পাইনি। তবে সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশনানুযায়ী অতি শীঘ্রই বিয়ানীবাজার উপজেলার বিভিন্ন সড়কের মধ্যে থাকা ঝুকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক খুটিগুলো স্থানান্তর করা হচ্ছে এবং বাকিগুলোও পর্যায়ক্রমে স্থানারিত হবে।