গোলাপগঞ্জে জামিল আহমদ নামের এক লন্ডন প্রবাসীর ছুরিকাঘাতে আহত হওয়া আলমগীর আলম বাম পা হারাতে বসেছেন। রবিবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে আহতের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, আলমগীর আলম বর্তমানে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ডাক্তারের নিবীড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন । ডান পা রক্ষা করা গেলেও বাম পা কাটার সম্ভাবনা বেশি। সোমবার সকালে ডাক্তার বাম পা কাটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, পূর্ব শত্রুতার জেরে গত বৃহস্পতিবার ( ৪ অক্টোবর) বিকেলে জামিলের মাতা সাহিদা বেগমকে ডাক্তার দেখানোর নাম করে জামিল আহমদ সহ অজ্ঞাত আরো ৩জন ব্যক্তি আলমগীর আলমকে সাথে নিয়ে সিলেটে যান। ডাক্তার দেখানোর শেষে বাড়িতে আসার পথে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের পাঁচমাইল নামক স্থানে পৌছামাত্র পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আলমগীর আলমের কথা কাটাকাটি শুরু করেন ঘাতক জামিল। এক পর্যায়ে জামিল আহমদ তার সাথে থাকা অজ্ঞাত আরো ৩জনের সহযোগীতায় দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আলমগীর আলমের দু পায়ের রগ কেটে ফেলে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরী আঘাত করে। এসময় স্থানীয়রা আলমগীরের চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ঘটনার সাথে জড়িত জামিল আহমদ (২২) কে তাৎক্ষণিক এলাকাবাসী আটক করে সিলেট র‍্যাব-৯ এর হাতে তুলে দিলে র‍্যাব গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় তাকে রাতে হস্তান্তর করে।

আটককৃত জামিল আহমদ ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের মধ্য কানিশাইল গ্রামের লন্ডন প্রাবাসী সোলেমান আলীর পুত্র। আহত ব্যক্তির নাম আলমগীর আলম (২৮)। তিনি বিয়ানীবাজার উপজেলার কোনাশালেশ্বর গ্রামের মৃত আজাদ মিয়ার পুত্র। বর্তমানে তিনি গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার রণকেলী উত্তরের একটি বাসাতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছেন।

এদিকে আলমগীর আলমের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। এ হামলার ঘটনায় আলমগীর আলমের মাতা সেলিনা বেগম বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি ( মামলা নং -৫/৫-১০-১৮ ) মামলায় দায়ের করেন।

এব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি (অপারেশন) দেলোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।