‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ এর জন্য বিয়ানীবাজারের শিশু নাটসহ সারাদেশের ৫০ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মনোনীত হয়েছে। আগামীকাল রবিবার বিকেলে সাভারস্থ শেখ হাসিনা জাতীয় যুব ইনস্টিটিউটে এই তরুণদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

সিআরআইয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এবারের জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের আবেদনপত্র আহ্বানের পর দেশের ৬৪ জেলায় অ্যাক্টিভেশন কার্যক্রম চালায় ইয়াং বাংলা। পরে ৩২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্যাম্পেইন চালানো হয়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ২৫০০ প্রতিষ্ঠানের আবেদন আসে।

২৪ অক্টোবর আবেদনের সময়সীমা শেষ হলে শুরু হয় বাছাই কার্যক্রম। প্রাথমিক পর্যায়ে পাওয়া ২৫০০ আবেদনপত্র থেকে বাছাই করা হয় ১০০টিকে। এরপর এসব প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের কার্যক্রম ঘুরে দেখে সমাজে তাদের প্রভাব এবং কার্যকারিতা বিবেচনা করে ৫০টি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। বিয়ানীবাজার পৌরসভার খাসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাট্যদল  ‘শিশু নাট’ ইয়ুথ বাংলা অ্যাওয়ার্ড চুড়ান্ত পর্বে স্থান করে নেয়। বিশেষ করে সাংস্কৃতিক জাগরণে শিশু নাট্যকর্মীদের স্বতস্ফুর্ত অংশ গ্রহণেআয়োজকদের আকৃষ্ট করেছে।

‘শিশু নাট’ নাট্য দলের প্রতিষ্ঠাতা সংস্কৃতি কর্মী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক তম্ময় পাল চৌধুরী বলেন, এখনো স্বপ্নের মধ্যে আছি। ঘোর কাটছে না। আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে পাল্লা দিয়ে সেরা ৫০ এর মধ্যে চলে এসেছে- সেটা অনেক বড় গৌরবে। আমি মনে করি পঞ্চখণ্ডের জন্য এটা অনেক বড় অর্জন।আশা করি এ অর্জনের ফলে বিয়ানীবাজারে প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সাংস্কৃতিক চর্চা বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, শিশু নাটের একজন হিসাবে আমি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করবো- এটা মেনে হলো শিহরীত হচ্ছি।

‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ পাচ্ছে যারাঃ-

স্বাস্থ্য খাত- ঢাকার ‘অল ফর ওয়ান ফাউন্ডেশন’, ‘লাইফ অব লাইফ’, ‘কল ফর ব্লাড’, চট্টগ্রামের ‘দুর্বার প্রগতি সংগঠন’, রাঙামাটির ‘জীবন’।

সর্বব্যাপী শিক্ষা খাত- খুলনার ‘অনুশীলন মজার স্কুল’, রংপুরের ‘বিডি অ্যাসিস্টেন্ট’, চট্টগ্রামের ‘বায়ান্ন’. ঝিনাইদহের ‘একতা উন্নয়ন সংগঠন’, নওগাঁর ‘স্বপ্ন সারথি পাবলিক লাইব্রেরি’, মৌলভীবাজারের ‘দ্য স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন’, ঢাকার ‘ঘুড়ি ফাউন্ডেশন’, ‘অনুবীক্ষণ‘, ‘পাখি ফাউন্ডেশন’, ‘শিক্ষার আলো পাঠশালা’।

সামাজিক খাত- ঢাকার ‘ব্রিজ ফাউন্ডেশন’, ‘বৃহন্নলা’, ‘দ্য ফ্লাগ গার্ল’, ব্যান্ড দল ‘ক্ষ্যাপা’, লালমনিরহাটের ‘তাইকোয়ান্দো অ্যাসোসিয়েশন’, ‘নড়াইল ভলান্টিয়ার্স’, ‘নীড় সেবা কেন্দ্র’, কক্সবাজারের ‘নতুন জীবন’, ময়মনসিংহের ‘প্রতিবন্ধী কল্যাণ সমিতি’, খুলনার ‘প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংস্থা’, সিলেটের ‘রিলেশন টু পিপল’, চট্টগ্রামের ‘স্বপ্নযাত্রী ফাউন্ডেশন’, গাইবান্ধার ‘স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন অব ইয়ুথ পাওয়ার’, ‘তারা ইনিশিয়েটিভ’, ফরিদপুরের ‘তরু ছায়া’, বরিশালের ‘তেঁতুলিয়া’, জামালপুরের ‘ উইশ ফর বেটার ও ‘ভোরের আলো’।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে জনসচেতনতা তৈরি- মাদারীপুরের ডিজিটাল সেন্টার, খুলনার ‘গুরুকূল’, ‘প্রকৃতি ও প্রজন্ম’, কুষ্টিয়ার ‘তারুণ্য ৭১’।

পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন- সুনামগঞ্জের ‘পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংগঠন’ নওগাঁর ‘প্রাণ ও প্রকৃতি’, বরিশালের ‘ইয়ুথ নেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, সাতক্ষীরার ‘সফল শ্রিম্ফ সার্ভিস সেন্টার’, ‘প্রথম সূর্য অ্যাগ্রো ফার্ম’।

নারী জাগরণ- সালান্দার হাইস্কুল নারী বাস্কেটবল দল, ‘ট্রাভেলেটস অব বাংলাদেশ’, ‘নারী শক্তি ফাউন্ডেশন’, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘স্বপ্ন তরী ফাউন্ডেশন’।

সাংস্কৃতিক বিপ্লব- সিলেটের বিয়ায়নীবাজারের ‘শিশু নাট’, শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র’, সিলেটের আর্ট অ্যান্ড অটিজম ফাউন্ডেশন

২০১৫ সালে প্রথমবার জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের আয়োজনে ১৫০০ আবেদন থেকে ৩০ জন তরুণ ও তাদের প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়। এক বছর বিরতি দিয়ে ২০১৭ সালে আবারও আয়োজন করা হয় জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের। সেই আসরে ৩০ জন তরুণকে দেওয়া হয় পুরস্কার।