দীর্ঘদিন খানাখন্দে- ছোটগত অসংখ্য গর্ত এবং ড্রেনের ময়লায় সয়লাভ ছিল বিয়ানীবাজারের কলেজ রোড তথা হালের প্রমথ নাথ দাস রোড। পৌরসভা গত নভেম্বর মাসে কলেজ রোডের সংস্কার কাজ শুরু করলে ব্যবসায়ীরা শিগগিরই কলেজ রোডের দুর্ভোগ লাঘব হচ্ছে মনে করেন হাফ ছাড়েন। এ সময় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পরিচালক দুই মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলেও সাংবাদিকদের জানান। কিন্তু পাঁচ মাসেও কাজ শেষ হয়নি। উল্টো গত প্রায় এক মাস থেকে কাজ বন্ধ রয়েছে।

শিগগিরই কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পৌর মেয়র আব্দুস শুকুরসহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। সড়কের একপাশ করে আরসিসি ঢালাই কাজ শুরু হবে বলে জানান তারা।

বর্তমানে এক পশলা বৃষ্টি হলে কলেজ রোড কদাকার হয়ে পড়ে। শোকনো সময়ে ধোয়ার মতো উড়তে থাকে ধুলো। এতে ব্যবসায়ী, পথচারি, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীরা এ দুর্ভোগ থেকে দ্রুত মুুক্তি চান।

কলেজ রোডের ব্যবসায়ী ছফর উদ্দিন বলেন, কাজ শুরু হওয়ার পর আশায় ছিলাম দ্রুত কাজ শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু ৫ মাসে শুধু ড্রেনের কাজ শেষ হয়েছে। এখন আরসিসি ঢালাই শুরু হলে আরও কয়েকমাস লেগে যাবে। কি বলবো ধুলার কারণে দোকানে বসা যায় না। বসলেও মাকস্ পড়ে বসতে হয়। কলেজ রোডের ধুলো থেকে রক্ষা পেতে ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যোগে প্রতিটি সময় করে পানি ছিটিয়ে দেন। মাহমুদ ম্যানশনের সামনে ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন মোটর চালিত পাইভ দিয়ে এবং অন্যজন বাতলি ও মগ দিয়ে পানি ছিটাতে দেখা যায়।

বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আফরোজা আক্তার বলেন, আমরা শ্বাস কষ্ট ছিল না। কিন্তু কলেজে আসা-যাওয়া এবং কলেজের যে কয়েকঘন্টা থাকতে হয়- এ সময়ে ধুলো মধ্যে থাকতে হয়েছে বলে শ্বাস কষ্ট দেখা দিয়েছে। ডাক্তার কয়েকদিন কলেজ যাওয়া বন্ধ করতে বলেছে। কিন্তু সামনে পরীক্ষা কলেজে আসতে হচ্ছে আমাকে। অপর শিক্ষার্থী আনিকা আক্তার বলেন, আমার চোখে খুব বেশি চুলকানি নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাই। ডাক্তার বলেছেন এটি অ্যালার্জিজনিত রোগ। ধুলো থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন।

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান শরিফ এন্টারপ্রাইজের পরিচালক সাইফুল ইসলাম ঝুনু বলেন, আরসিসি ঢালাই কাজের জন্য রড এসে গেছে। অন্য মালামাল আসার পথে রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করতে পারবো।

বিয়ানীবাজার পৌরসভার উপ সহকারি প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম কয়েছ বলেন, আগামী সপ্তাহে কাজ শুরু হবে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত কাজ শুরু করার জন্য বারবার তাগদা দিচ্ছি।

বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র আব্দুস শুকুর বলেন, ফান্ডের কোন সমস্যা নেই। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ড্রেনের কাজ শেষ করার পর আরসিসি কাজে হাত দেয়ার কথা। কিন্তু রড, পাথর ও বালু রাখার জায়গা না পাওয়া কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। বর্তমানে এসব মালামাল অন্য একটি প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গনে রেখে কাজ শুরু করার জন্য বলা হয়েছে। আশাকরি আগামী সপ্তাহে কাজ শুরু হবে।