সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ উপলক্ষে সারাদেশের সঙ্গে বিয়ানীবাজার উপজেলা জুড়েও চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। পৌরশহরসহ উপজেলায় চলছে দেবী দুর্গাকে মূর্ত করে তোলার চেষ্টায় প্রতিমা তৈরীর কাজ।। একই সঙ্গে মণ্ডপ এলাকায় চলছে সাজসজ্জা, ধোয়া-মোছা, তোরণ ও প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ।

এবার উপজেলাজুড়ে ৪৯টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজার আয়োজন চলছে। এরমধ্যে মন্ডপগুলোতে ৩৪টি সর্বজনীন ও ১৫টি ব্যক্তিগত উদ্যোগে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবছরের মতো এবারও পৌরসভাসহ উপজেলার সকল ছোট-বড় সকল মন্ডপগুলোতে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা পালন করবে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ।

জানা যায়, শারদীয় উৎসব পালনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে বইছে উৎসবের আমেজ। দুর্গা দেবীর আগমনে প্রতিবারের ন্যায় এবছরও প্রতিটি মন্দিরে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।  দুর্গতি নাশিনী দেবী দুর্গার আগমনে উচ্ছ্বসিত ভক্তকুল। দেবীকে আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, স্নানীয়, পুষ্পমাল্য, চন্দন, ধূপ ও দীপ দিয়ে পূজা করবেন ভক্তরা। এবছর দেবী পৃথিবীতে আসছেন ঘোড়ায় চড়ে আর ফিরে যাবেন পালকিতে চড়ে।

আগামী ১৫ অক্টোবর ষষ্ঠী দিয়ে শুরু হবে দুর্গাপুজা। ১৯ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে দেবীকে বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে এ উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।

এদিকে, উপজেলায় শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনকে কেন্দ্র করে প্রত্যেকটি পূজামণ্ডপ ও মিশনসহ সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় যাতে উৎসবমূখর পরিবেশে পূজা সম্পন্ন করতে পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তিনস্থরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। অন্যদিকে, দুর্গাপূজা উদযাপনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের নেয়া এমন উদ্যোগে সন্তোষ্ট হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। পরবর্তীতে পূজার শেষলগ্নে সর্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির নিয়ন্ত্রণে একসঙ্গে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে।