দুর্দান্ত খেলে ফিলিপাইনের সাথে ১-০ গোলে হেরেছে লাল সবুজের দলটি। প্রথমার্ধের ২৪ মিনিটে হজম করা একমাত্র গোলে ৈপরাজয় মেনে মাঠ ছাড়ে বাংরাদেশ। পিছিয়ে পড়ে শেষ বাঁশির আগ পর্যন্ত আক্রমনের পর আক্রমন করলে কাঙ্খিত গোলে দেখা পায়নি জেমি’র দল। দ্বিতীয়ার্ধে ৪/৫ পাঁচটি নিশ্চিত গোল থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে ফিনিশারের অভাবে। ২৬ হাজার দর্শকপূর্ণ সিলেটে গ্যালারিতে উচ্ছ্বাশ ছিল দেখার মতো। হারলেও অনেকদিন পর বাংলাদেশ ভাল ফুটবল খেলেছে।

মাঝ মাঠ নিয়ন্ত্রণ, দুর্দান্ত পাসিং আর পরিকল্পনা ভরা ম্যাচে একমাত্র গোলের হারের যন্ত্রণা পোড়াবে জেমি’র খেলোয়াড়দের। শুধু আক্রমনভাগে ভাল ফিনিশানের অভাবই হতাশা নিয়ে ছাড়তে হয়েছে মাঠ।

কক্সবাজারের বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সেমিফাইনালের টিকিট আগেই কেটে রেখেছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। লাওসের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় এবং ফিলিপাইন প্রথম ম্যাচে লাওসকে হারানোয় সেমিতে চলে যায় দু’দলই। কিন্তু বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচটাকে হালকা করে দেখেনি। উপভোগ মন্ত্র ছিল দলের মধ্যে তবে জয়ই ছিল লক্ষ্যে। সেই লক্ষ্যে প্রথমার্ধে ধাক্কা দিয়েছে ফিলিপাইন। জামাল ভূঁইয়াদের বিপক্ষে এগিয়ে আছে ১-০ গোলে।

শুক্রবার সিলেটের ভালো শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু শক্তির বিচারে এগিয়ে থাকা ফিলিপাইনের বিপক্ষে নিজেদের খেলাটা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি। ম্যাচের ২৪ মিনিটে দানিয়েলের গোলে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর বাকি সময়েও আক্রমণ করে গেছে তারা কিন্তু আর গোল করতে পারেনি। বাংলাদেশ অবশ্য গোল শোধ দেওয়ার মতো ভালো পরিকল্পিত আক্রমণ করতে পারেনি প্রথমার্ধে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে একেবারে অন্যরকম এক বাংলাদেশ মাঠে নামে। আক্রমনের পর আক্রমণ করেও স্কোর লাইনে সমতা ফেরাতে পারেনি লাল সবুজের এ দলটি। মাঠের উভয় দিক থেকে সমান তালে আক্রমন করে গেলে বিপুলরা। দ্বিতীয়ার্ধে পুরোটা সময় রক্ষণাত্মক ছিল ফিলিপাইন। প্রায় ৭ সাত খেলোয়াড় ছিলেন পোস্টের আশপাশে। কাউন্টার এ্যাটাকে কয়েকবার উঠা ছাড়া আর কিছুই করতে পারে ফিলিপাইনের এ দলটি। কিন্তু বাংলাদেশের আক্রমন ভাগের খেলোয়াড়দের ব্যর্থতা আজও চরমভাবে ধরা পড়ে। পোস্টে ভাল গতি বল রাখতে পারলে কমপক্ষে ৩টি গোল দিতে পারতো জীবনরা।

র‌্যাংকিংয়ে অবশ্য ফিলিপাইন বেশ শক্তিশালী দল। নিজেদের ফিফা র‌্যাংকিং একশ’র নিচে আনতে চেষ্ট চালিয়ে যাচ্ছে তারা। আর বাংলাদেশের দুশ’ ছুঁই ছুঁই। এমন দলের বিপক্ষে তাই ভালো খেলতে বিশেষ ছক কষেই নামে বাংলাদেশ। জেমি’র সেই চক খেলার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কাজে লাগিয়ে তপুরা।