বড়লেখায় এক কলেজ ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজের দুইদিন পর বুধবার (৩১ অক্টোবর) সকালে বসতবাড়ির পরিত্যক্ত রান্নাঘরের জানালার গ্রিলের সাথে প্রান্ত দাস (১৮) নামের ওই ছাত্রের লাশ মুখ বাঁধা ও দন্ডায়মান অবস্থায় পাওয়া গেছে। বুধবার বেলা ১২টায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

প্রান্ত উপজেলার বর্ণি এম. মুন্তাজিম আলী কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। ঘটনাটি আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা এ নিয়ে এলাকায় নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) আবু ইউছুফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

থানা-পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের বাঘমারা গ্রামের সনত দাসের ছেলে প্রান্ত দাস দীর্ঘদিন ধরে বর্ণি ইউনিয়নের নয়াগ্রাম (মিহারী) গ্রামে ফুফা মৃত করুণাময় দাসের বাড়িতে ফুফতো ভাই সুমন দাসের পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন। এখানে থেকে তিনি বর্ণি এম. মুন্তাজিম আলী কলেজে পড়াশুনা করতেন। গত সোমবার মামাতো ভাই সুমন দাস রাতের খাবারের জন্য প্রান্ত দাসকে ডাকতে গিয়ে তাকে ঘরে পাননি। এরপর বিভিন্ন স্থানে খোঁজেও তাঁর সন্ধান মিলেনি। বুধবার সকাল ৬টার দিকে পাশের বাড়ির দুই শিশু বসতঘরের পাশের পরিত্যক্ত রান্নাঘরের দক্ষিণের জানালার গ্রিলের সাথে মুখ বাঁধা দন্ডায়মান অবস্থায় প্রান্ত দাসের লাশ দেখে তারা চিৎকার দেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশ থানায় নিয়ে আসে।

বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক বলেন, ‘লাশটি ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। লাশের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদেন্তর জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’