বিকাল ৩টা থেকে বিয়ানীবাজারে বিদ্যুৎ নেই। গত দুইটি কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড উপজেলা এখনো স্বাভাবিক হয়নি। তার উপর ৩৩ কেবি লাইনের ত্রুটির কারণে বিকাল ৩টা থেকে টানা ৬ ঘন্টা বিয়ানীবাজার উপজেলাসহ আশপাশ এলাকা বিদ্যুৎহীন। এ নিয়ে উপজেলাবাসীর মধ্যে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

টানা বিদ্যুৎহীন থাকায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে বিঘ্ন ঘটছে। পরীক্ষার্থীর প্রস্তুতিতে বিঘ্ন ঘটায় পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা চিন্তিত রয়েছেন। অনেকেই বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আগামীকাল বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে ব্যাঘাত ঘটায় উদ্বিঘ্ন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

এইচএসসি পরীক্ষার্থী মাথিউরায় মারুফ আহমদ বলেন, পরীক্ষা দিয়ে এসে দেখিতে বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। একটু বিশ্রাম করার পর বিদ্যুৎ আসবে এ প্রত্যাশা অপেক্ষা থাকলেও রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ নেই। এখন পড়তেও মন বসছে না। আবার না পড়েও পারছি না। খুব খারাপ লাগছে।

অভিভাবক চামেলী বেগম বলেন, এক বছর ৩৩ কেবি লাইন মেরামত করার নামে দিনের পর দিন বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার পরও যদি একই সমস্যা থাকে তাহলে মেরামত করার নাম করে আমাদের বিদ্যুৎহীন করে রাখা হলো কেন?

স্থানীয় পল্লীবিদ্যুৎ জানায়, ফেঞ্চুগঞ্জের গ্রিড লাইনের সাথে সংযুক্ত বিদ্যুতের ৩৩ কেবি লাইনের ফল্ট থাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিকাল থেকে বিদ্যুৎ কর্মীরা অনেক চেষ্টার পর ত্রুটির্পূ স্থান সনাক্ত করেছেন। সুনামপুর ও ফেঞ্চুগঞ্জের মাঝামাঝি এলাকায় ৩৩ কেবি লাইনে ত্রুটি দেখা দেয়।

বিদ্যুৎ না থাকায় পৌরশহরসহ আশাপাশ এলাকা ও উপজেলা প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিকষ অন্ধকারে ঢেকে যায়। এছাড়া বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভেপসা গরমেও উপজেরারবাসী ত্রাহি অবস্থা।

বিয়ানীবাজার পল্লীবিদ্যুৎ ডিজিএম অভিলাশ চন্দ্র পাল বলেন, ৩৩ কেবি লাইনে ‘ফল্ট’ বিদ্যুৎ সরবরাহ হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘসময় পর ত্রুটিপূর্ণ স্থান সনাক্ত শেষে এখন কাজ চলছে। আশা করি ঘন্টা খানেকের মধ্যে বিদ্যুৎ স্বচল হবে।